বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের এসআই মো. তানজিল।
এক বার্তায় তিনি জানান, বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইয়ে তিনদিনব্যাপী মাহফিল শুরু হয়েছে। যে মাহফিলে আগত মুসল্লিদের একাধিক মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটার সংবাদ পায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।
ওই সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. ইব্রাহীম খলিল, এসআই আব্দুল্লা আল জোবায়ের, পিএসআই রুহুল আমিন, এএসআই মো. আরিফ হোসেনের সমন্বিত বিশেষ অভিযানিক টিম অভিযানে নামে।
তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরের ফলপট্টি এলাকার আবাসিক হোটেল চন্দ্রদ্বীপের চতুর্থ তলায় অভিযান চালায়।
অভিযানে পটুয়খালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হাসান আনোয়ার (৩২), বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন গজালিয়া এলাকার ওমর ফারুক (৩৬), সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মুকরিম পুর এলাকার মো. ওমর (৩০), নওগাঁ জেলার সাপাহার থানাধীন মাইপুর এলাকার আসাদুজ্জামান (২৮) ও গোপালগঞ্জের সদর থানাধীন কাজলিয়া এলাকার মো. বরকতকে (৩০) আটক করা হয়। পাশাপাশি ওই সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের চোরাই ৬৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
অভিযানিক দলের সদস্য এসআই আব্দুল্লা আল জোবায়ের ক্রাইমসিনকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়ে এ অভিযানটি পরিচালনা করি। অভিযানে আটকদের কাছে উদ্ধার হওয়া ৬৪ মোবাইল ফোনের মধ্যে বেশিরভাগই চরমোনাই মাহফিলের মুসল্লিদের বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
তবে পুরো ঘটনা আরও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সে সঙ্গে আটকদের দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বে কোনো মামলা রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত গণজমায়েতের স্থানে গিয়ে পারস্পরিক যোগসাজশে চুরি করে বলে প্রাথমিক তথ্যে উঠে এসেছে। যার ধারাবাহিকতায় হোটেল চন্দ্রদ্বীপের দুটি কক্ষ ভাড়া করে চক্রের সদস্যরা চরমোনাই মাহফিলে চুরি করছিল।
এ চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান অভিযানিক দলের সদস্যরা।